নকীব সাহেবের ইসলামের কোন সেবার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো
অষ্টম শ্রেণীর পঞ্চম নম্বর এসাইনমেন্টের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার প্রশ্নের উত্তরমালা সমাধান চলতেছে
নকিব সাহেবের মাঝে ইসলামের যে সেবার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে তা হলো সমাজসেবা। মানব কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য গৃহীত সকল কর্মসূচিই সমাজসেবা নামে পরিচিত। উদ্দীপকে নকিব সাহেব নিজ উদ্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য এলাকার বন্ধুদের নিয়ে প্রতি শুক্রবার রাস্তাঘাট মেরামত ও সংস্কার করার মাধ্যমে সমাজসেবা করেছেন।
সমাজসেবা আখলাকে হামিদাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি সমাজে বিভিন্ন রকম শ্রেণীর মানুষ বসবাস করে। কেউ আর্থিক দিক দিয়ে বেশি সচ্ছল আবার কেউ গরিব। এই দুই শ্রেণীর লোক মিলে আমাদের সমাজ। আর যেহেতু ইসলাম ভাতৃত্বের ধর্ম, তাই ধনীদের ধন সম্পদের উপর গরিবদের হক রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেনঃ
“এবং তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের হক”। (সূরা আয-যারিয়াত আয়াতঃ ১৯)
জনসেবা দ্বারা আল্লাহ তায়ালা সাহায্য লাভ করা যায়। হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেন :
“আল্লাহ বান্দাকে ততক্ষণ সাহায্য করে ততক্ষণ তার ভাইকে সাহায্য করতে থাকে” (মুসলিম)
সমাজসেবা একটি মানবিক দায়িত্ব। একজন সুনাগরিক এর প্রধান দায়িত্ব হলো জনসেবা। সর্বস্তরে সকলের উপকারে আসে সেসব কাজে নিজেদের নিয়োজিত করা প্রয়োজন।
যেমনঃ ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত করা, নতুন রাস্তা নির্মাণ করা, আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌছাতে সাহায্য করা, রাস্তার পাশে বৃক্ষ রোপণ ও তা সংরক্ষণ করা ইত্যাদি। সমাজসেবা হচ্ছে- সমাজে মানুষের নিরাপত্তা ও মঙ্গলার্থে গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রমের সমষ্টি। ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের ইহজাগতিক উন্নয়নের সঙ্গে পরকালীন নিরাপত্তার প্রসঙ্গটিও জড়িত। কাজেই দ্বীন ইসলামে সমাজসেবার পরিধি আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত। হজরত রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমাজসেবার মাধ্যমে আরবের জনমানুষের হৃদয় ও মন জয় করেছিলেন। নবীর সেবাধর্মী চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে উম্মুল মুমিনিন হজরত খাদিজাতুল কুবরা (রা.) সাক্ষ্য দিয়ে বলেন,
‘আল্লাহর কসম! আল্লাহ আপনাকে কখনোই অপমানিত করবেন না। আপনি তো আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করেন, অসহায়-দুর্বলের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সাহায্য করেন। মেহমানের সমাদর করেন এবং দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন। ’ – (সহিহ বোখারি)
“তাপমাত্রা বাড়লে বায়ুমন্ডলের চাপ কমে যায় কেন?”এখানে ক্লিক করুন
“গণিত, বিজ্ঞান, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিষ্ট ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা”